উঠোনের আলোগুলো নিভিয়ে দিয়ে ইজি চেয়ার টা টেনে নিল রমি । মিষ্টিদির বাড়ির
এই জায়গাটা বেশ সুন্দর । আজ ভাগ্যক্রমে আকাশ পরিষ্কার ।মধ্যরাত হতে আর বেশি
দেরী নেই । রমি তার মোবাইল এ সময় দেখল ।
পাশের বাড়ির বাথরুম এ জ্বলা আলোটা ওকে বিরক্ত করছিল । ও চাচ্ছিল সবাই আলো নিভিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক । রমি আজ একদম একা বসে থাকতে চায় । হঠাৎ করেই ও আজ বিকালে মিষ্টিদির এখানে চলে এসেছে । পরে আর যাওয়া হয়নি । তাতে অবশ্য ভালই হয়েছে । বাড়ি ফিরলে আজ আর এই খসে পড়া তারার উৎসব দেখতে পেতনা ও । ও যে ফ্ল্যাট টাতে থাকে তার বারান্দা থেকে আকাশ দেখা যায় বটে কিন্তু আশেপাশের আলোর কারণে তারা খুব একটা চোখে পড়েনা । আজ geminid meteor shower হবার কথা । এই নিয়ে বেশ একটা হইচই পড়েছে । অন্তত ফেসবুক দেখে তাই মনে হয় ।
রমি এর আগে কখনো দেখেনি খসে পড়া তারা । শুনেছে মানুষের ইচ্ছা নাকি পূরণ হয় ওই সময় কিছু চাইলে । রমি এসব প্রচলিত কথায় বিশ্বাস করেনা। তবে তারা দেখার অভ্যাস ওর আগেও ছিল । অনেক আগে । অনুপম এর সাথে পরিচিত হবার আগে । রমির বাবা ওকে বই কিনে দিতেন প্রচুর । তার মধ্যে একটি বই ছিল গ্রহ নক্ষত্রদের নিয়ে । রাশিয়া থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের অনুবাদ ছিল সেটি । অনুপমের সাথে পরিচিত হবার পর ও এমনভাবে নিজের জগত ছেড়ে অনুপমের জগতে মিশে গেল, যে নিজের বলতে ওর আর কিছুই থাকলোনা ।
অনুপম নিজেও তারা দেখতে অনেক পছন্দ করে । মহাকাশ নিয়ে ওর অনেক আগ্রহ । রমি ও ওর সাথে থাকতে থাকতে ওই জগতের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে নিজের অজান্তে । যদিও অনুপম সেটা বুঝত কিনা ও জানেনা । আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর অনুপম এর চলে যাবার দিনের কথা মনে পড়ল । হয়ত ঠিক এই মুহুর্তে অনুপম ও অপেক্ষা করছে খসে পড়া তারার বৃষ্টি দেখার জন্য । রমি অদ্ভূত এক একাত্মতা বোধ করলো । কিন্তু অনুপম কি ভাবছে রমির কথা ?
না ভাবাটাই স্বাভাবিক । সে তো আর ভালবাসেনা ওকে । হয়ত ভাবছে নতুন কিছু । নতুন কোনো স্বপ্নের কথা । রমি একটানা আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল । দেখছিল একসাথে থাকা ওই তিনটে তারাকে । ওদের দুজনের পছন্দের সেই তিনটে তারা । যারা সবসময় ওদের সাথে সাথে ঘুরত ।
হঠাৎ ছুটে গেল একটা তারা । খসে পড়া তারা ।রমি একটা বর চেয়ে বসলো ইচ্ছাপূরণের দেবীর কাছে । পরক্ষনেই নিজের বোকামিতে হেসে উঠলো । কারণ ও জানে কেউ পারবেনা ওর এই ইচ্ছা পূরণ করতে ।
রমি আরো অনেকক্ষণ বসে রইলো চুপচাপ । একটানা আকাশের দিকে তাকিয়ে ।
এবার একটু একটু ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছে রমির । ও উঠে পড়ল । ঘরে যাবার আগে আরেকবার দেখে নিল আকাশটা । ইচ্ছাপূরণের দেবীরা আজ সারারাত ছোটাছুটি করবে আকাশে । কিন্তু কেউ রমির ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেনা ।
পাশের বাড়ির বাথরুম এ জ্বলা আলোটা ওকে বিরক্ত করছিল । ও চাচ্ছিল সবাই আলো নিভিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক । রমি আজ একদম একা বসে থাকতে চায় । হঠাৎ করেই ও আজ বিকালে মিষ্টিদির এখানে চলে এসেছে । পরে আর যাওয়া হয়নি । তাতে অবশ্য ভালই হয়েছে । বাড়ি ফিরলে আজ আর এই খসে পড়া তারার উৎসব দেখতে পেতনা ও । ও যে ফ্ল্যাট টাতে থাকে তার বারান্দা থেকে আকাশ দেখা যায় বটে কিন্তু আশেপাশের আলোর কারণে তারা খুব একটা চোখে পড়েনা । আজ geminid meteor shower হবার কথা । এই নিয়ে বেশ একটা হইচই পড়েছে । অন্তত ফেসবুক দেখে তাই মনে হয় ।
রমি এর আগে কখনো দেখেনি খসে পড়া তারা । শুনেছে মানুষের ইচ্ছা নাকি পূরণ হয় ওই সময় কিছু চাইলে । রমি এসব প্রচলিত কথায় বিশ্বাস করেনা। তবে তারা দেখার অভ্যাস ওর আগেও ছিল । অনেক আগে । অনুপম এর সাথে পরিচিত হবার আগে । রমির বাবা ওকে বই কিনে দিতেন প্রচুর । তার মধ্যে একটি বই ছিল গ্রহ নক্ষত্রদের নিয়ে । রাশিয়া থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের অনুবাদ ছিল সেটি । অনুপমের সাথে পরিচিত হবার পর ও এমনভাবে নিজের জগত ছেড়ে অনুপমের জগতে মিশে গেল, যে নিজের বলতে ওর আর কিছুই থাকলোনা ।
অনুপম নিজেও তারা দেখতে অনেক পছন্দ করে । মহাকাশ নিয়ে ওর অনেক আগ্রহ । রমি ও ওর সাথে থাকতে থাকতে ওই জগতের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে নিজের অজান্তে । যদিও অনুপম সেটা বুঝত কিনা ও জানেনা । আকাশের দিকে তাকিয়ে ওর অনুপম এর চলে যাবার দিনের কথা মনে পড়ল । হয়ত ঠিক এই মুহুর্তে অনুপম ও অপেক্ষা করছে খসে পড়া তারার বৃষ্টি দেখার জন্য । রমি অদ্ভূত এক একাত্মতা বোধ করলো । কিন্তু অনুপম কি ভাবছে রমির কথা ?
না ভাবাটাই স্বাভাবিক । সে তো আর ভালবাসেনা ওকে । হয়ত ভাবছে নতুন কিছু । নতুন কোনো স্বপ্নের কথা । রমি একটানা আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল । দেখছিল একসাথে থাকা ওই তিনটে তারাকে । ওদের দুজনের পছন্দের সেই তিনটে তারা । যারা সবসময় ওদের সাথে সাথে ঘুরত ।
হঠাৎ ছুটে গেল একটা তারা । খসে পড়া তারা ।রমি একটা বর চেয়ে বসলো ইচ্ছাপূরণের দেবীর কাছে । পরক্ষনেই নিজের বোকামিতে হেসে উঠলো । কারণ ও জানে কেউ পারবেনা ওর এই ইচ্ছা পূরণ করতে ।
রমি আরো অনেকক্ষণ বসে রইলো চুপচাপ । একটানা আকাশের দিকে তাকিয়ে ।
এবার একটু একটু ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছে রমির । ও উঠে পড়ল । ঘরে যাবার আগে আরেকবার দেখে নিল আকাশটা । ইচ্ছাপূরণের দেবীরা আজ সারারাত ছোটাছুটি করবে আকাশে । কিন্তু কেউ রমির ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেনা ।
তিতিপুর ব্লগ?
ReplyDelete