এই যে একবিংশ শতকের প্রেমিকেরা,শুনুন
‘দোতলার ল্যান্ডিং’ এ, বাসস্ট্যান্ডে, ফেরীতে, বহুতল ভবনের লিফটে
হয়তো ইউরো ট্রিপে ‘রেলগাড়ির কামরায়’
কিংবা গ্র্যান্ড ক্যানেলে গণ্ডোলায় ভাসতে ভাসতে,
বহুবার আপনাদের দেখা হবে
কিন্তু আপনারা ভুলেও স্মৃতিচারণের দিকে যাবেননা;
বরং সযতনে এড়িয়ে যাবেন একে অন্যকে
এমন ভাব করবেন, যেন চিনতেন না কেউ কাউকে কোনদিন
ডিনার পার্টিতে, ব্যুফেতে খাবার নিতে নিতে
বন্ধুর সাথে মেতে উঠবেন স্থুল আলোচনায়
আর মনে মনে নাক সিঁটকোবেন তার ড্রেস সেন্সের কথা ভেবে
‘ডালিম ফুলের মত রাঙ্গা বা কালো রেশম শাড়ি’ সবই অচল এ যুগে
আপনি বরং প্রশংসায় মাতবেন
প্রাডা কিংবা লুই ভুটন এর নতুন সামার কালেকশন এর
রবীন্দ্রনাথ কে বড্ড সেকেলে ঠাউরে বলবেন
‘রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে’ এ তো স্বতঃসিদ্ধ ...
এ বাক্যের নান্দনিকতা ভুলে গিয়ে আপনি বরং হিসেব কষতে থাকবেন
অবজার্ভেবল ইউনিভার্সের সবচেয়ে দূরতম নক্ষত্রটি ঠিক কত আলোকবর্ষ দূরে
কিংবা ঠিক কোন নেবুলায় জন্ম নেয় অরিয়ন বেল্টের তারারা
অপেক্ষায় প্রহর গুনবেন
কবে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করবেন কবিতা উপন্যাস লেখার ফর্মুলা
যা দিয়ে কিনা মাউস এর এক ক্লিকে লেখা হয়ে যাবে ‘খোয়াবনামা’
কিংবা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ একটি প্রেমের কবিতা ।
এই যে শুনুন, একবিংশ শতাব্দীর ‘সলিচ্যুড’ আক্রান্ত প্রেমিকেরা
দিনশেষে যখন সলিচ্যুড কিংবা নীহারিকা, কালপুরুষ আর সপ্তর্ষিমণ্ডল এর মাঝে নির্বাণ খুঁজে ফিরবেন
অথবা টেক্সট করে নতুন কাউকে জানাবেন ভাললাগার অনুভূতি
জেনে রাখুন, হে একবিংশ শতকের স্মার্ট প্রেমিকেরা
তখন আপনি কবিতাই খুঁজে ফিরবেন
সে জীবনানন্দ, গুণ বা জয় গোস্বামীর ভাষায় হোক
বা থোরিউ, ফ্রস্ট, বুকওস্কির ভাষায় ।
‘দোতলার ল্যান্ডিং’ এ, বাসস্ট্যান্ডে, ফেরীতে, বহুতল ভবনের লিফটে
হয়তো ইউরো ট্রিপে ‘রেলগাড়ির কামরায়’
কিংবা গ্র্যান্ড ক্যানেলে গণ্ডোলায় ভাসতে ভাসতে,
বহুবার আপনাদের দেখা হবে
কিন্তু আপনারা ভুলেও স্মৃতিচারণের দিকে যাবেননা;
বরং সযতনে এড়িয়ে যাবেন একে অন্যকে
এমন ভাব করবেন, যেন চিনতেন না কেউ কাউকে কোনদিন
ডিনার পার্টিতে, ব্যুফেতে খাবার নিতে নিতে
বন্ধুর সাথে মেতে উঠবেন স্থুল আলোচনায়
আর মনে মনে নাক সিঁটকোবেন তার ড্রেস সেন্সের কথা ভেবে
‘ডালিম ফুলের মত রাঙ্গা বা কালো রেশম শাড়ি’ সবই অচল এ যুগে
আপনি বরং প্রশংসায় মাতবেন
প্রাডা কিংবা লুই ভুটন এর নতুন সামার কালেকশন এর
রবীন্দ্রনাথ কে বড্ড সেকেলে ঠাউরে বলবেন
‘রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে’ এ তো স্বতঃসিদ্ধ ...
এ বাক্যের নান্দনিকতা ভুলে গিয়ে আপনি বরং হিসেব কষতে থাকবেন
অবজার্ভেবল ইউনিভার্সের সবচেয়ে দূরতম নক্ষত্রটি ঠিক কত আলোকবর্ষ দূরে
কিংবা ঠিক কোন নেবুলায় জন্ম নেয় অরিয়ন বেল্টের তারারা
অপেক্ষায় প্রহর গুনবেন
কবে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করবেন কবিতা উপন্যাস লেখার ফর্মুলা
যা দিয়ে কিনা মাউস এর এক ক্লিকে লেখা হয়ে যাবে ‘খোয়াবনামা’
কিংবা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ একটি প্রেমের কবিতা ।
এই যে শুনুন, একবিংশ শতাব্দীর ‘সলিচ্যুড’ আক্রান্ত প্রেমিকেরা
দিনশেষে যখন সলিচ্যুড কিংবা নীহারিকা, কালপুরুষ আর সপ্তর্ষিমণ্ডল এর মাঝে নির্বাণ খুঁজে ফিরবেন
অথবা টেক্সট করে নতুন কাউকে জানাবেন ভাললাগার অনুভূতি
জেনে রাখুন, হে একবিংশ শতকের স্মার্ট প্রেমিকেরা
তখন আপনি কবিতাই খুঁজে ফিরবেন
সে জীবনানন্দ, গুণ বা জয় গোস্বামীর ভাষায় হোক
বা থোরিউ, ফ্রস্ট, বুকওস্কির ভাষায় ।
No comments:
Post a Comment