মরচে ধরা ভারী থামগুলোকে ঘিরে পাক খায় ঘন পীতসবুজ স্রোত । একটানা জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ ।
থামগুলোর গায়ে নিবিড় সংসার পেতেছে অসংখ্য বর্ষীয়ান শামুকখোল । একটা নোঙর জংধরা শরীর নিয়ে পড়ে আছে এককোণে । পাশে বহু ব্যবহারে জীর্ণ পাটের মোটা মোটা দড়ি । দিগন্তের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে বলে জেটিতে অপেক্ষা করছে একটা প্রমোদতরী । আরও দূরে বৃদ্ধ প্রহরীর মত ঝিমোচ্ছে একটা বাতিঘর । মাঝে মাঝে গভীর থেকে উঠে আসা কান্নার মত, উঠে আসছে লোনা ভিজে হাওয়া । জাহাজের ডেকে বসে থাকা, তরুণীর রোদে পোড়া তামাটে শরীর আর রোদচশমা ভেদ করে যায় সে হাওয়া । তার সোনালী চুল উড়ছে উদ্দাম । আরও অনেক দূরে দিগন্তের সীমানায় যেন থমকে আছে একটা জাহাজ, আরেকটু হলেই টুপ করে পড়ে যাবে নীচে ।
কাঠের পাটাতনের ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ আর প্রমোদতরীর বাসিন্দাদের ছলছলে হাসি মিলেমিশে একাকার হয় জলের শব্দের সাথে, তারপর মিলিয়ে যায় রুপো চকচকে ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে । মাঝে মাঝে একটা স্যাঁতসেঁতে আঁশটেগন্ধ এসে লাগে নাকে । মানুষের যাওয়া আসা চলতে থাকে অবিরাম ।
একসময় রাত নামে, তবে এ শহরে কখনই নামেনা ঝুপঝুপে গাড় অন্ধকার, আসেনা ‘নিশিরাইত’ ওড়েনা বিস্তর জোনাকি । ভাল করে অন্ধকার নামার আগেই এখানে জ্বলে ওঠে আলো । এখানে সন্ধ্যা নামে জ্যাজ মিউজিক আর গ্যাসবাতির কৃত্রিম উষ্ণতায় । ওয়েটার এর হাতে ওয়াইন গ্লাসের টুংটাং শব্দে । সান্ধ্যপোশাক আর নামী ব্র্যান্ডের পারফিউম এ । ক্যান্ডেল লাইট ডিনার এ ।
রাত বাড়ছে । বিকট শব্দে সাইরেন বাজিয়ে ছেড়ে গেল শেষ ফেরী । জেটিটা ক্রমশ ফাঁকা হয়ে আসছে । নোঙর, দড়ি, পাটাতন গোছাতে ব্যাস্ত ফেরীকর্মী । ওর মধ্যেও ঘরে ফেরার তাড়া । সরকারী জেটির পাশে আরেকটা ভাসমান প্রাইভেট জেটি। অনেকগুলো ওয়াটার ট্যাক্সি বাঁধা তাতে । পরিকল্পিত মায়াবী আলোয় অদ্ভুত লাগে দেখতে । ঢেউয়ের তোড়ে ওয়াটার ট্যাক্সি আর জেটি সমান তালে দুলতে থাকে ।
জেটির কোণে ছায়ামূর্তির মত দাঁড়িয়ে একজন ।
মোহগ্রস্তের মত শুনছে একটানা জলের শব্দ ।
হাওয়ায় উড়ছে তার নীল আঁচল । যার ঘরে ফিরে যাবার কোন তাড়া নেই ।
থামগুলোর গায়ে নিবিড় সংসার পেতেছে অসংখ্য বর্ষীয়ান শামুকখোল । একটা নোঙর জংধরা শরীর নিয়ে পড়ে আছে এককোণে । পাশে বহু ব্যবহারে জীর্ণ পাটের মোটা মোটা দড়ি । দিগন্তের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে বলে জেটিতে অপেক্ষা করছে একটা প্রমোদতরী । আরও দূরে বৃদ্ধ প্রহরীর মত ঝিমোচ্ছে একটা বাতিঘর । মাঝে মাঝে গভীর থেকে উঠে আসা কান্নার মত, উঠে আসছে লোনা ভিজে হাওয়া । জাহাজের ডেকে বসে থাকা, তরুণীর রোদে পোড়া তামাটে শরীর আর রোদচশমা ভেদ করে যায় সে হাওয়া । তার সোনালী চুল উড়ছে উদ্দাম । আরও অনেক দূরে দিগন্তের সীমানায় যেন থমকে আছে একটা জাহাজ, আরেকটু হলেই টুপ করে পড়ে যাবে নীচে ।
কাঠের পাটাতনের ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ আর প্রমোদতরীর বাসিন্দাদের ছলছলে হাসি মিলেমিশে একাকার হয় জলের শব্দের সাথে, তারপর মিলিয়ে যায় রুপো চকচকে ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে । মাঝে মাঝে একটা স্যাঁতসেঁতে আঁশটেগন্ধ এসে লাগে নাকে । মানুষের যাওয়া আসা চলতে থাকে অবিরাম ।
একসময় রাত নামে, তবে এ শহরে কখনই নামেনা ঝুপঝুপে গাড় অন্ধকার, আসেনা ‘নিশিরাইত’ ওড়েনা বিস্তর জোনাকি । ভাল করে অন্ধকার নামার আগেই এখানে জ্বলে ওঠে আলো । এখানে সন্ধ্যা নামে জ্যাজ মিউজিক আর গ্যাসবাতির কৃত্রিম উষ্ণতায় । ওয়েটার এর হাতে ওয়াইন গ্লাসের টুংটাং শব্দে । সান্ধ্যপোশাক আর নামী ব্র্যান্ডের পারফিউম এ । ক্যান্ডেল লাইট ডিনার এ ।
রাত বাড়ছে । বিকট শব্দে সাইরেন বাজিয়ে ছেড়ে গেল শেষ ফেরী । জেটিটা ক্রমশ ফাঁকা হয়ে আসছে । নোঙর, দড়ি, পাটাতন গোছাতে ব্যাস্ত ফেরীকর্মী । ওর মধ্যেও ঘরে ফেরার তাড়া । সরকারী জেটির পাশে আরেকটা ভাসমান প্রাইভেট জেটি। অনেকগুলো ওয়াটার ট্যাক্সি বাঁধা তাতে । পরিকল্পিত মায়াবী আলোয় অদ্ভুত লাগে দেখতে । ঢেউয়ের তোড়ে ওয়াটার ট্যাক্সি আর জেটি সমান তালে দুলতে থাকে ।
জেটির কোণে ছায়ামূর্তির মত দাঁড়িয়ে একজন ।
মোহগ্রস্তের মত শুনছে একটানা জলের শব্দ ।
হাওয়ায় উড়ছে তার নীল আঁচল । যার ঘরে ফিরে যাবার কোন তাড়া নেই ।
No comments:
Post a Comment