তেমন কিছুইতো নয়
চেনা রেস্তোরাঁ, একটা ছোট টেবিল আর
মুখোমুখি দুজন
চারিপাশে কথার কোলাহল, অথচ কিছুই প্রবেশ
করেনা করোটিতে
মাঝে মাঝে ওই দুরত্বটুকু
কি মধুরভাবে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে
নির্মম উপহাস যেন
চাইলেই ছুঁয়ে দেওয়া যায়
আবার যায়না
চায়ের কাপটা হাতে দিয়ে বলা
যায় ‘এই নাও তোমার চা’
অথচ কাপটা এগিয়ে দিতে
হাত ওঠেনা
পরিপাটি চুলগুলো দুরন্ত
আঙ্গুল এর ছোঁয়ায় এলোমেলো করে দেওয়া যায় নিমেষে
চোখ থেকে খুলে নেওয়া যায়
চশমা
বলা যায় ‘অনেক হয়েছে
এবার চোখ বন্ধ’
অথচ কিছুই করা হয়ে ওঠেনা
পৃথিবীর সমস্ত অভিমান তখন বাসা বাঁধে পাঁজরে
কুরে কুরে খায় হৃদয়ের
স্পন্দন
চেনা রেস্তোরাঁর
ওই এক টেবিল দুরত্বের
মাঝে খেলে যায় নিশ্ছিদ্র নীল নীরবতা
শুধুই আড়চোখে দেখে নেওয়া
কতটুকু বদলেছে সে
চোখ অচেনা, চুল অচেনা
আর চিরচেনা হাসিটুকু,
তাও যেন অচেনা
আজকাল নিজেই চিনিনা আর
নিজের প্রতিবিম্ব
সেতো বহুদুরের মানুষ, বহুদুরের মানুষ ...
No comments:
Post a Comment